ফ্লাইং হর্স ২ নম্বর কোদাল দিয়ে টমেটো চাষ।

আলতাব মিয়া, বয়স ৬০ ছুই ছুই। খুব সখিন একটা মানুষ। বড্ড হাসি খুশি ও পরিশ্রমী যার বাগান করার সখ। অফিসের পর কিংবা অবশরে বাড়ির পাশে নিজের একটা ছোট জমিতে ফসল ফোলানো তার নেশা। আলতাব মিয়া এইবার টমেটো চাষ করেছে। অনেক বড় বড় লাল সবুজ দেশী টমেটোতে ভরা এই বাগান। ছোট্ট একটুকরা বাগান দেখে মনে হচ্ছে একটুকরা বাংলাদেশ। লাল আর সবুজের সমারহে যে কারও দৃষ্টি কারবে এই বাগান। বাগান দেখে ইচ্ছে হল বাগান মালিকের সাথে কথা বলার। আলতাব মিয়া বাগানে মাটি নিরিয়ে দিচ্ছিল। সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম চাচা এই বয়সেও এত সুন্দর বাগান কিভাবে করলেন? চাচা বললেন জমির পরিমান ছোট হওয়ায় নাঙ্গল দিয়ে নিড়ানো সম্ভব না। তাই জাহেদ মেটালের ফ্লাইং হর্স ০২ কোদাল ব্যবহার করেই জমির যাবতীয় কাজ করে থাকি। অন্যান্য কোদালের তুলনায় এই কোদালের ধার অনেক বেশী বলে কম পরিশ্রমে বেশি মাটি নিড়ানো যায়। জাহেদ মেটালের উন্নত মানের কোদাল আর দেশী টমেটোর জাত দিয়ে করে আমি আমার বাগান তৈরি করেছি। চাচাকে প্রশ্ন করা হল জাহেদ মেটালের ফ্লাইং হর্স ০২ নম্বর কোদাল কেন ব্যবহার করেছেন? চাচা বলেন, বাজারের সেরা পণ্য ব্যবহার করা আমার পুরাতন অভ্যস। নিঃসন্দেহে জাহেদ মেটালের কোদাল দেশের সেরা কোদাল। এই কোদালে কম পরিশ্রমে বেশি কাজ করা যায়। তাই আমি জাহেদ মেটালের কোদাল ব্যবহার করি। বিজ্ঞ লোকদের প্রথম পছন্দের কোদাল জাহেদ মেটালের কোদাল।
zahed metal kodal.jpg

ফ্লাইং হর্স মার্কা দেশী জাহেদ মেটালের কোদালে বেশী শক্তি

আব্দুল মতিন ও রুহুল আমিন দুই বন্ধু বিভিন্ন জায়গায় মাটি খননের কাজ করত। তারা দুই জনই ছিল অনেক পরিশ্রমী তবুও আব্দুল মতিনের কাজের চাহিদা ছিল বেশি। কারণ একই সময়ে মতিন যত বেশি কাজ করতে পারতো রুহুল বেশি পরিশ্রম করেও তা করতে পারতোনা। মাঝে মাঝে আব্দুল মতিনের কাজ অনেক থাকলেও রুহুলের হাতে কাজ থাকতো না। এই নিয়ে রুহুল বেশ চিন্তিত ছিল। একদিন রুহুল মতিনকে জিজ্ঞেস করল দোস্ত আমরা দুই জনই ছোট থেকে বড় হয়েছি এবং একই কাজ করি। একই রকম পরিশ্রম করেও তুমি আমার থেকে বেশি কাজ কর কিভাবে? আমি তো কিছু কিছু সময় তোমার থেকে বেশি পরিশ্রম করি তবুও তোমার সমান কাজ করতে পারিনা কেন? মতিনের খুবই সাধারণ উত্তর, ভাই তুমি নিম্নমানের কোদাল ব্যবহার করে কাজ কর আর আমি জাহেদ মেটালের ফ্লাইং হর্স মার্কা কোদাল দিয়ে কাজ করি। জাহেদ মেটালের কোদালে কম পরিশ্রমে বেশি কাজ করা যায়। কাজের সময় যদি তোমার কোদাল নষ্ট হয় বা বার বার কোদাল ঠিক করতে হয় তখন কাজ করবে কি ভাবে। তাই ভাল কাজ করতে চাইলে আজই জাহেদ মেটালের কোদাল ব্যবহার শুরু কর। রুহুল জাহেদ মেটালের কোদাল দিয়ে এখন অনেক ভাল কাজ করছে। আপনিও আসুন জাহেদ মেটালের ফ্লাইং হর্স মার্কা কোদাল ব্যবহার করুন।
zahed metal kodal.jpg

শ্রমিকের কোদাল জাহেদ মেটালের কোদাল

শ্রমিক খুবই সাধারণ এক শ্রেণীর মানুষ। উচু সমাজে তাদের তেমন কোন মূল্য থাকেনা। দিন রাত পরিশ্রম করেও পরিবারের সবার মুখে ঠিক মত খাবার তুলে দিতে পারেনা। অবেহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মধ্যে শ্রমিকদের নাম লিখলে ভুল হবেনা। এই সুবিধা বঞ্চিত মানুষেরা দিন রাত পরিশ্রম করেই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখে আমাদের পরিবেশ, সমাজ ও দেশটাকে। ড্রেনের ময়লা পরিস্কার করে, রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে সুন্দর করে রাখে। রাস্তা ঘাট নির্মাণ করে এই শ্রমিকেরাই। রাস্তার পাশে লাইন ধরে গাছ লাগিয়ে পরিবেশটা সুন্দর করে এই শ্রমিকেরাই। আমরা যে সুন্দর বাড়ীতে বসবাস করি সেটাও তো এই শ্রমিকের তৈরি। শ্রমিক আমাদের জন্য এত কিছু করছে আমাদেরও উচিত শ্রমিকের জন্য কিছু একটা করা। তাই নয় কি? বাংলাদেশের মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ জগতের প্রবাদ পুরুষ জনাব জাহেদ আলী এই শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে, শ্রমিকদের কষ্ট লাঘব করার জন্য বিদেশ থেকে অত্যাধুনি কোদাল তৈরির মেশিন নিয়ে আসেন যার মাধ্যমে উন্নত মানের কোদাল উৎপাদন শুরু করেন। বাংলাদেশে এক মাত্র মেশিনের মাধ্যমে কোদাল তৈরি হয় এই ইন্ডাস্ট্রিজে। শ্রমিক, দিনমজুর খেঁটে খাওয়া মানুষের জন্য প্রায় ৭০ বছর আগে যে কোদাল ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে তুলেছিলেন তা আজও মাথা উচু করে দাড়িয়ে শ্রমিকদের জন্য কোদাল তৈরি করে যাচ্ছে। শ্রমিকদের কষ্ট লাঘব করার জন্য জনাব জাহেদ আলী যে ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে তুলেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। জনাব জাহেদ আলীর এই মহতী উদ্যোগ দেশের মানুষ স্মরণ রাখবে চির কৃতজ্ঞতায় । তাইতো শ্রমিকের কোদাল জাহেদ মেটালের ফ্লাইং হর্স মার্কা কোদাল।
zahed metal kodal.jpg